নিজের জাকাত নিজে আদায় করাই উত্তম। নিজ দায়িত্বে জাকাত আদায় করলে কোন প্রকার সন্দেহ সংশয় থাকে না। পক্ষান্তরে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জাকাত দিতে গেলে অপব্যবহারের সুযোগ থাকে। তাই ধনীদের উচিত গরিবদের ঘরে ঘরে জাকাতের মাল পৌঁছে দেয়া। গতকাল শনিবার আমাদের নতুন সময়ের সাথে আলাপকালে এভাবেই কথাগুলো বলেন রাজধানীর দক্ষিণ আজমপুর বাইতুল হুদা জামে মসজিদের খতিব মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিন।
মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিন বলেন, জাকাত যার উপর ফরজ হয় তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এটাকে সুষ্ঠুভাবে সঠিক খাতগুলোর মধ্যে ব্যয় করা। জাকাতদাতা নিজ উদ্যোগে খোঁজ-খবর নিয়ে অভাবি-গরিবদের অবস্থা বুঝে প্রয়োজন মাফিক জাকাতের মাল বণ্টন করবেন। এক্ষেত্রে জাকাতের মাল হিসেবে শুধু শাড়ি-লুঙ্গি দেয়া মোটেই উচিত নয়।
বরং খেয়াল রাখতে হবে সব বয়সী জাকাতগ্রহীতাদের প্রতি, বিশেষ করে নাবালেগ শিশুদের প্রতি। তিনি আরো বলেন, অনেক ব্যবসায়ী আছেন আলহামদুলিল্লাহ যারা নিজ উদ্যোগে আলেম-উলামার সাথে পরামর্শ করে জাকাত দেন। বিভিন্ন মাদরাসার বড় হুজুরদের সাথে আলাপ করে সুন্দরভাবে তাদের জাকাত আদায় করেন। এখন কেউ যদি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জাকাত আদায় করতে অতিউৎসাহী হয় তাহলে আমি বলবো তার জাকাত আদায়ের মধ্যে দুর্নীতি ঢুকে যাবে। রাজনৈতিক দলাদলি ঢুকে যাবে। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে তখন তারা এত্থেকে তাদের নির্বাচনী ফায়দা হাসিল করবে। জাকাতের মাল কাউকে পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়া যাবেনা’ উল্লেখ করে মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিন বলেন, ভিক্ষাবৃত্তিকে যারা পেশা হিসেবে নিয়েছে এবং যাদের অভ্যাস এমন হয়ে গেছে যে জাকাতের মাল পেলে তারা এটার অপব্যবহার করবে- তাদের ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য নিজের জাকাত, নিজ প্রতিষ্ঠানের জাকাত আন্তরিকতার সাথে এমনভাবে দেয়া প্রয়োজন যেন জাকাতের হক পুরোপুরি আদায় হয়ে যায়। জিম্মাদারি থেকেও মুক্ত হওয়া যায়। সম্পাদনা : লুৎফুর রহমান